বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল-১ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ শে জুন) দুপুর ১২টায় সেতু উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। এছাড়াও ছিলেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্যরা।
এদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেশি-বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী টোল প্লাজায় টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যান।
সেখানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক এবং ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন। উদ্বোধনের পরের দিন ২৬ শে জুন ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠাল বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন। আওয়ামী লীগ এ জনসভায় ১০ লাখ লোক জমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছিল। জনসভায় যোগদান শেষে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ থেকে ঘুরে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে আসেন।
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে। পদ্মা সেতু দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার উন্নয়নের সঙ্গে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে দুই পাশের মহাসড়ক, নদী তীর।
Recent Comments