আবারো ইসরায়েল ফিলিস্তিনের সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার ৫ই মে ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর ফলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের উত্তেজনা চরমে রয়েছে। তবে এ সংঘর্সে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবরে পাওয়া যায়নি। এবার সংঘর্ষের আগে ১০ দিন শান্ত ছিলো পরিস্থিতি। খবর এএফপির।
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। মসজিদের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এমন খবর দিয়েছেন এ বিষয়ে এএফপির সংবাদদাতা। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এখনো সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের খবর দেয়নি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে চলে আসছে এবারের সংঘর্ষ। আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলা এ সংঘর্ষে প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছে। আটক হয়েছে আরো কয়েক শ।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান এই আল–আকসা মসজিদ। একই সাথে ইহুদিদের কাছেও এটি পবিত্র স্থান। এটি তাঁদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি ওই পবিত্র স্থানে ইহুদিদের আগমন বেড়ে যাওয়ায় খুশি নন মুসলিমরা। তাঁরা সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ যে কোন মূল্যে ঠেকাতে চান।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড। তিনি বলেন, পবিত্র আল–আকসা নিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র তাদের বিদ্যমান নীতি ‘বদলাবে না’।
এদিকে গেল সপ্তাহে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে বলেছে, আল-আকসায় ইসরায়েলি বাহিনী যদি আরও অভিযান চালায়, তাহলে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে।
ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষনে হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেছেন, ‘(ইসরায়েলি) দখলদারেরা যদি আল-আকসা মসজিদে হামলা বন্ধ না করে তাহলে আপনাদের একটি বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।’
গেল ২২ শে মার্চ থেকে সহিংসতায় ইসরায়েলে ৪টি পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১২ ইসরায়েলি এবং দুই ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। জোরালো হামলা চালানো হয়েছে তেল আবিব শহরেও। ওই সময় থেকে মোট মারা গেছেন ২৬ জন ফিলিস্তিনি এবং তিনজন ইসরায়েলি আরব । ইসরায়েলের দাবি করছে, ইসরায়েলে হামলায় ফিলিস্তিনিরা জড়িত। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন হামলায় জড়িত ছিলেন বলেও দাবি তাদের।
Recent Comments