নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, খালেদা জিয়ার সাজা রাজনৈতিক চক্রান্ত, নিরাপত্তাবাহিনী গুম-খুনের সাথে জড়িত
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, খালেদা জিয়ার সাজা রাজনৈতিক চক্রান্ত, নিরাপত্তাবাহিনী গুম-খুনের সাথে জড়িত
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। ভোটদানে বাধা, বিরোধি প্রার্থীদের হয়রানী আর জালভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। গৃহবন্দী বিরোধিদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে দোষী সাব্যস্ত করে রায় প্রদান করা হয়।
দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার, গুম এবং দুর্নীতিতে নিয়োজিত। এমনবিষয়গুলোর স্ববিস্তর বর্ণনা দিয়ে ২০২১ সালের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, “বাংলাদেশের সংবিধানে একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা রয়েছে; যার অধিকাংশ ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ন্যাস্ত।”
রিপোর্টে বলা হয়, “২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বাক্সভর্তি জাল ভোট, বিরোধী পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং অনিয়মের নানা অভিযোগ ছিল। ফলে পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃতি দেননি।”
রিপোর্টে আরো বলা হয়, “বাংলাদেশে পুলিশ, বর্ডার গার্ড এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মতো সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোকে নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত নিরাপত্তায় নিয়োজিত। দেশটির সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় প্রতিরক্ষার দায়িত্বে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করেন। বাংলাদেশে বেসামরিক নেতৃত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন উল্লেখ করে মার্কিন রিপোর্টে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। তবে ওই রিপোর্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।”
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভিন্ন সময় অবৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশে দুর্নীতি করলে দায়মুক্তি দেয়া হয়।
দেশে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা চরমভাবে লঙ্ঘিত। সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। তাই ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না গণমাধ্যমও।
বিশ্বের ১৯০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি করা বাৎসরিক রিপোর্টে এমন বিষদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। ২০২১ সালের বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়নে তৈরি হয়েছে ‘২০২১: কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্যাকটিসেস’।
যুক্তরষ্ট্রের রিপোর্টের সামারিতে ক্যাটাগরিক্যালি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, উত্থাপিত কিছু অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে।
এগুলো হলো – বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বেআইনি বা নির্বিচারে হত্যা, গুম, সরকারের পক্ষ থেকে বা তার এজেন্টদের দ্বারা নাগরিকদের নির্যাতন, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির নির্যাতন বা মামলা, কারাগারে জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী পরিবেশ, নির্বিচারে গ্রেফতার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দী, অন্য দেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিশোধ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বাধা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনী হস্তক্ষেপ, একজন ব্যক্তির দ্বারা অভিযুক্ত অপরাধের জন্য পরিবারের সদস্যদের শাস্তি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেফতার বা বিচার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর গুরুতর নিষেধাজ্ঞা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সমিতির স্বাধীনতার সাথে উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপ, যার মধ্যে রয়েছে সংগঠন, তহবিল বা বেসরকারি সংস্থা ও সুশীল সমাজ সংগঠনের ওপর বিধিনিষেধমূলক আইন।
এ ছাড়া শরণার্থীদের চলাফেরার স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ, উদ্বাস্তুদের সাথে দুর্ব্যবহার, রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ, সরকারি দুর্নীতি; দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে হয়রানি বা সেগুলোর ওপর বিধিনিষেধ, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার জন্য তদন্তের অভাব এবং জবাবদিহিতার অভাব, যার মধ্যে গৃহনির্যাতন এবং অন্তরঙ্গ সঙ্গীর সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, শিশু নির্যাতন, বাল্য ও জোরপূর্বক বিয়েসহ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক চর্চাগুলো রয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও হুমকি, লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার, বা ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক সমলিঙ্গের যৌন আচরণকে অপরাধী করে এমন আইনের অস্তিত্ব বা ব্যবহার, স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার উপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপের অস্তিত্ব।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের বৈরী আচরণের বর্ণনা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “সেপ্টেম্বরে মিডিয়া রিপোর্ট করেছে কর্তৃপক্ষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে। ২০২০ সালের মার্চে জিয়ার সাজা প্রাথমিকভাবে মানবিক কারণে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল বলা হলেও , তিনি নিজ বাড়িতে বন্দী ছিলেন। উভয় ক্ষেত্রেই সরকার জিয়াকে তার অসুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, এই বলে যে তিনি ঢাকায় চিকিৎসা পাবেন। আগস্টে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন যে, জিয়া যদি গৃহবন্দিত্ব মওকুফ করেন, কারাগারে যান এবং সেখান থেকে অনুরোধ করেন তাহলে তিনি বিদেশ ভ্রমণের অনুরোধ করতে পারেন। ২০১৮ সালে জিয়াকে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা ২০০৮ সালে প্রথম দায়ের করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বিশেষজ্ঞরা দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রমাণের অভাবের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন এবং বিরোধীদলের নেতাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অপসারণের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, আদালত তার পক্ষে জামিনের আবেদন বিবেচনা করার ধীর প্রক্রিয়া অবলম্বন করে।”
রিপোর্টে বিভিন্ন গুম-খুন, পুলিশী হেফাজতে মৃত্যুর বিভিন্ন ঘটনার স্ববিস্তর বিবরণ তুলে ধরা হয়। বাদ যায়নি বছর জুড়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইনে গ্রেফতার, হয়রানী, মুক্তমত প্রকাশে বাধা দেয়ার ঘটনা সমুহ।মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অংশ হিসাবে সাংবাদিক ছাড়াও ও তাদের পরিবারকে নির্যাতনের ঘটনার বিবরণ রিপোর্ট স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক কনক সারওয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে র্যাব কর্তৃক আটক করে নির্যাতনের ঘটনার মর্মস্পর্শী বিবরণ ।নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, খালেদা জিয়ার সাজা রাজনৈতিক চক্রান্ত, নিরাপত্তাবাহিনী গুম-খুনের সাথে জড়িত
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। ভোটদানে বাধা, বিরোধি প্রার্থীদের হয়রানী আর জালভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। গৃহবন্দী বিরোধিদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে দোষী সাব্যস্ত করে রায় প্রদান করা হয়।
দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার, গুম এবং দুর্নীতিতে নিয়োজিত। এমনবিষয়গুলোর স্ববিস্তর বর্ণনা দিয়ে ২০২১ সালের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, “বাংলাদেশের সংবিধানে একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা রয়েছে; যার অধিকাংশ ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ন্যাস্ত।”
রিপোর্টে বলা হয়, “২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বাক্সভর্তি জাল ভোট, বিরোধী পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং অনিয়মের নানা অভিযোগ ছিল। ফলে পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃতি দেননি।”
রিপোর্টে আরো বলা হয়, “বাংলাদেশে পুলিশ, বর্ডার গার্ড এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মতো সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোকে নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত নিরাপত্তায় নিয়োজিত। দেশটির সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় প্রতিরক্ষার দায়িত্বে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করেন। বাংলাদেশে বেসামরিক নেতৃত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন উল্লেখ করে মার্কিন রিপোর্টে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। তবে ওই রিপোর্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।”
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভিন্ন সময় অবৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশে দুর্নীতি করলে দায়মুক্তি দেয়া হয়।
দেশে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা চরমভাবে লঙ্ঘিত। সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। তাই ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না গণমাধ্যমও।
বিশ্বের ১৯০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি করা বাৎসরিক রিপোর্টে এমন বিষদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। ২০২১ সালের বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়নে তৈরি হয়েছে ‘২০২১: কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্যাকটিসেস’।
যুক্তরষ্ট্রের রিপোর্টের সামারিতে ক্যাটাগরিক্যালি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, উত্থাপিত কিছু অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে।
এগুলো হলো – বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বেআইনি বা নির্বিচারে হত্যা, গুম, সরকারের পক্ষ থেকে বা তার এজেন্টদের দ্বারা নাগরিকদের নির্যাতন, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির নির্যাতন বা মামলা, কারাগারে জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী পরিবেশ, নির্বিচারে গ্রেফতার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দী, অন্য দেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিশোধ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বাধা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনী হস্তক্ষেপ, একজন ব্যক্তির দ্বারা অভিযুক্ত অপরাধের জন্য পরিবারের সদস্যদের শাস্তি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেফতার বা বিচার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর গুরুতর নিষেধাজ্ঞা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সমিতির স্বাধীনতার সাথে উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপ, যার মধ্যে রয়েছে সংগঠন, তহবিল বা বেসরকারি সংস্থা ও সুশীল সমাজ সংগঠনের ওপর বিধিনিষেধমূলক আইন।
এ ছাড়া শরণার্থীদের চলাফেরার স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ, উদ্বাস্তুদের সাথে দুর্ব্যবহার, রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ, সরকারি দুর্নীতি; দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে হয়রানি বা সেগুলোর ওপর বিধিনিষেধ, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার জন্য তদন্তের অভাব এবং জবাবদিহিতার অভাব, যার মধ্যে গৃহনির্যাতন এবং অন্তরঙ্গ সঙ্গীর সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, শিশু নির্যাতন, বাল্য ও জোরপূর্বক বিয়েসহ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক চর্চাগুলো রয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও হুমকি, লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার, বা ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক সমলিঙ্গের যৌন আচরণকে অপরাধী করে এমন আইনের অস্তিত্ব বা ব্যবহার, স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার উপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপের অস্তিত্ব।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের বৈরী আচরণের বর্ণনা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “সেপ্টেম্বরে মিডিয়া রিপোর্ট করেছে কর্তৃপক্ষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে। ২০২০ সালের মার্চে জিয়ার সাজা প্রাথমিকভাবে মানবিক কারণে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল বলা হলেও , তিনি নিজ বাড়িতে বন্দী ছিলেন। উভয় ক্ষেত্রেই সরকার জিয়াকে তার অসুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, এই বলে যে তিনি ঢাকায় চিকিৎসা পাবেন। আগস্টে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন যে, জিয়া যদি গৃহবন্দিত্ব মওকুফ করেন, কারাগারে যান এবং সেখান থেকে অনুরোধ করেন তাহলে তিনি বিদেশ ভ্রমণের অনুরোধ করতে পারেন। ২০১৮ সালে জিয়াকে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা ২০০৮ সালে প্রথম দায়ের করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বিশেষজ্ঞরা দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রমাণের অভাবের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন এবং বিরোধীদলের নেতাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অপসারণের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, আদালত তার পক্ষে জামিনের আবেদন বিবেচনা করার ধীর প্রক্রিয়া অবলম্বন করে।”
রিপোর্টে বিভিন্ন গুম-খুন, পুলিশী হেফাজতে মৃত্যুর বিভিন্ন ঘটনার স্ববিস্তর বিবরণ তুলে ধরা হয়। বাদ যায়নি বছর জুড়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইনে গ্রেফতার, হয়রানী, মুক্তমত প্রকাশে বাধা দেয়ার ঘটনা সমুহ।মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অংশ হিসাবে সাংবাদিক ছাড়াও ও তাদের পরিবারকে নির্যাতনের ঘটনার বিবরণ রিপোর্ট স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক কনক সারওয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে র্যাব কর্তৃক আটক করে নির্যাতনের ঘটনার মর্মস্পর্শী বিবরণ ।নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, খালেদা জিয়ার সাজা রাজনৈতিক চক্রান্ত, নিরাপত্তাবাহিনী গুম-খুনের সাথে জড়িত
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। ভোটদানে বাধা, বিরোধি প্রার্থীদের হয়রানী আর জালভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। গৃহবন্দী বিরোধিদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে দোষী সাব্যস্ত করে রায় প্রদান করা হয়।
দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার, গুম এবং দুর্নীতিতে নিয়োজিত। এমনবিষয়গুলোর স্ববিস্তর বর্ণনা দিয়ে ২০২১ সালের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, “বাংলাদেশের সংবিধানে একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা রয়েছে; যার অধিকাংশ ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ন্যাস্ত।”
রিপোর্টে বলা হয়, “২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বাক্সভর্তি জাল ভোট, বিরোধী পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং অনিয়মের নানা অভিযোগ ছিল। ফলে পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃতি দেননি।”
রিপোর্টে আরো বলা হয়, “বাংলাদেশে পুলিশ, বর্ডার গার্ড এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মতো সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোকে নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত নিরাপত্তায় নিয়োজিত। দেশটির সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় প্রতিরক্ষার দায়িত্বে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করেন। বাংলাদেশে বেসামরিক নেতৃত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন উল্লেখ করে মার্কিন রিপোর্টে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। তবে ওই রিপোর্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।”
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভিন্ন সময় অবৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশে দুর্নীতি করলে দায়মুক্তি দেয়া হয়।
দেশে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা চরমভাবে লঙ্ঘিত। সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। তাই ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না গণমাধ্যমও।
বিশ্বের ১৯০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি করা বাৎসরিক রিপোর্টে এমন বিষদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। ২০২১ সালের বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়নে তৈরি হয়েছে ‘২০২১: কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্যাকটিসেস’।
যুক্তরষ্ট্রের রিপোর্টের সামারিতে ক্যাটাগরিক্যালি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, উত্থাপিত কিছু অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে।
এগুলো হলো – বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বেআইনি বা নির্বিচারে হত্যা, গুম, সরকারের পক্ষ থেকে বা তার এজেন্টদের দ্বারা নাগরিকদের নির্যাতন, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির নির্যাতন বা মামলা, কারাগারে জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী পরিবেশ, নির্বিচারে গ্রেফতার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দী, অন্য দেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিশোধ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বাধা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনী হস্তক্ষেপ, একজন ব্যক্তির দ্বারা অভিযুক্ত অপরাধের জন্য পরিবারের সদস্যদের শাস্তি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেফতার বা বিচার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর গুরুতর নিষেধাজ্ঞা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সমিতির স্বাধীনতার সাথে উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপ, যার মধ্যে রয়েছে সংগঠন, তহবিল বা বেসরকারি সংস্থা ও সুশীল সমাজ সংগঠনের ওপর বিধিনিষেধমূলক আইন।
এ ছাড়া শরণার্থীদের চলাফেরার স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ, উদ্বাস্তুদের সাথে দুর্ব্যবহার, রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ, সরকারি দুর্নীতি; দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে হয়রানি বা সেগুলোর ওপর বিধিনিষেধ, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার জন্য তদন্তের অভাব এবং জবাবদিহিতার অভাব, যার মধ্যে গৃহনির্যাতন এবং অন্তরঙ্গ সঙ্গীর সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, শিশু নির্যাতন, বাল্য ও জোরপূর্বক বিয়েসহ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক চর্চাগুলো রয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও হুমকি, লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার, বা ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক সমলিঙ্গের যৌন আচরণকে অপরাধী করে এমন আইনের অস্তিত্ব বা ব্যবহার, স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার উপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপের অস্তিত্ব।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের বৈরী আচরণের বর্ণনা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “সেপ্টেম্বরে মিডিয়া রিপোর্ট করেছে কর্তৃপক্ষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে। ২০২০ সালের মার্চে জিয়ার সাজা প্রাথমিকভাবে মানবিক কারণে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল বলা হলেও , তিনি নিজ বাড়িতে বন্দী ছিলেন। উভয় ক্ষেত্রেই সরকার জিয়াকে তার অসুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, এই বলে যে তিনি ঢাকায় চিকিৎসা পাবেন। আগস্টে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন যে, জিয়া যদি গৃহবন্দিত্ব মওকুফ করেন, কারাগারে যান এবং সেখান থেকে অনুরোধ করেন তাহলে তিনি বিদেশ ভ্রমণের অনুরোধ করতে পারেন। ২০১৮ সালে জিয়াকে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা ২০০৮ সালে প্রথম দায়ের করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বিশেষজ্ঞরা দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রমাণের অভাবের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন এবং বিরোধীদলের নেতাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অপসারণের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, আদালত তার পক্ষে জামিনের আবেদন বিবেচনা করার ধীর প্রক্রিয়া অবলম্বন করে।”
রিপোর্টে বিভিন্ন গুম-খুন, পুলিশী হেফাজতে মৃত্যুর বিভিন্ন ঘটনার স্ববিস্তর বিবরণ তুলে ধরা হয়। বাদ যায়নি বছর জুড়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইনে গ্রেফতার, হয়রানী, মুক্তমত প্রকাশে বাধা দেয়ার ঘটনা সমুহ।মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অংশ হিসাবে সাংবাদিক ছাড়াও ও তাদের পরিবারকে নির্যাতনের ঘটনার বিবরণ রিপোর্ট স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক কনক সারওয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে র্যাব কর্তৃক আটক করে নির্যাতনের ঘটনার মর্মস্পর্শী বিবরণ ।
Recent Comments