পিরোজপুরে অনন্য নজির স্থাপন করেছে একটি সেতু। জেলার স্বরূপকাঠির ভরতকাঠি খালের ওপরে নির্মিত গার্ডার ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় মই বেয়ে অন্তত ১৫ ফুট উঁচুতে উঠে পা রাখতে হয় মূল সেতুতে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। স্থানীয়রা সুপারি গাছের তৈরি মই বেয়ে সেতু পার হচ্ছেন। এতে বৃদ্ধ-শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
প্রায় তিন মাস আগে ব্রিজ নির্মাণকাজ শেষ হলেও দুই পাড়ে মাটি ভরাট অথবা সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতু নির্মাণকালে পাশের বিকল্প কাঠের পুলটিও ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ ছোটখাট যানবাহন চলাচল।
জানা গেছে, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চাঁদকাঠি জিসি-ভরতকাঠি সড়কের ভরতকাঠি খালের উপর ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ অরম্ভ হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। মেসার্স ইফতি-ইটিসি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুই কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। পরে কাউখালীর পলাশ মেম্বার নামে এক সাব-কন্ট্রাক্টর ওই ব্রিজ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর।
গেলো নভেম্বরে ব্রিজের ছাদ ও রেলিং নির্মাণ শেষ হলেও ব্রিজের গোড়ায় মাটি ভরাট না করেই কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
এরমধ্যে বিকল্প কাঠের পুলটিও ভেঙে খালে পড়ে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। পরে স্থানীয়রা সুপারি গাছের সঙ্গে তক্তা পিটিয়ে সিড়ি তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। স্থানীয়রা এলজিইডি অফিসে ভোগান্তির অভিযোগ করেও এর কোনো প্রতিকার পাননি।
এ ব্যাপারে সাব-কন্ট্রাক্টর পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবো।’
স্বরূপকাঠি এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বার বার তাগাদা দেয়ার পরেও ঠিকাদার পলাশ কাজটি শেষ করছেন না।
Recent Comments