সম্প্রতি ওজনপার্কে ঘটে যাওয়া দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। সবাই অজানা আশংকায় দিনাতিপাত করছেন। রাতে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল তা এখন দিনের বেলায়ও দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় কমিউনিটির নিরাপত্তা, পুলিশের টহল বাড়ানো, পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সিটি লাইন ওজনপার্ক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন গত ১৭ মে ওজনপার্কে ড্রিউ স্ট্রিটের কর্নারে বাংলাদেশ ওয়েতে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুন নুর এবং পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম খোকন। সমাবেশে এলাকার মানুষের বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করে নিরাপদ জীবন যাপন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সবার কাম্য। বক্তারা তাদের বলেন, ১৩ মে ওজনপার্কে জারা লাইফ স্টাইল দোকানে সন্ধ্যার সময় ডাকাতি, সম্প্রতি সময়ে ছিনতাই জনগণের মধ্যে আতঙ্ক, নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তারা আরো বলেন, অনেক সময় ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশে কল দেওয়ার পর পুলিশের অসহযোগিতা লক্ষ করা যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই এলাকা দায়িত্ব তাদের নয়। শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হলেও কিছু দিনের মধ্যে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধীরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে যায় এবং আবারও অপরাধ শুরু করে। এই প্রেক্ষাপটে ওজনপার্কবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে সিটি লাইন ওজনপার্কে পুলিশের ভ্রাম্যমান ক্যাস্প, পুলিশের টহল বৃদ্ধি, অন্ধকার স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি। এই দাবিগুলো আবারও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থাপন করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত ডিস্ট্রিক্ট ৩২-এর কাউন্সিলওম্যান জুয়ান এরিওয়ালা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দাবির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, আপনাদের এসব দাবি আমি সিটি কাউন্সিলে তুলে ধরবো। তিনি আরো বলেন, আমার প্রথম কাজ হচ্ছে আমার এলাকার মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, বর্তমান আইনে অপরাধীরা ধরা পড়লেও জামিনের জন্য টাকা বা বন্ডের ব্যবস্থা না থাকায় তারা সহজেই ছাড়া পেয়ে যায় এবং আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কাউন্সিলওম্যান তার বক্তব্যে কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য তার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলে উল্লেখ করেন। পুলিশের ভূমিকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এরকম কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তার অফিসে যোগাযোগ করার জন্য।
১০২ প্রিসেক্টের ডেপুটি কমান্ডার কেলভীন বলেন, কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য সাধ্য মত কাজ করে যাবেন। স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুরহান উদ্দীন কপিল, আনোয়ার খান, মসজিদ আল আমানের সভাপতি কবির চৌধুরী, বেকডেইজের সিইও মিছবাহ আবদীন, জারা লাইফ স্টাইল কাপড়ের দোকানের মালিক রাজু আহমদ, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার। সমাবেশের পূর্বে প্রতিবাদ র্যালি বিভিন্ন স্ট্রিট পদক্ষিণ করে।
Recent Comments