যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তার নাম উইন রোজারিও। নিউইয়র্কের ওজন পার্কের নিজ বাসায় পুলিশ তাকে গুলি করে।
নিহতের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিওর অভিযোগ, তার নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করেছে পুলিশ। তিনি জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ওজন পার্কের ১০৩ স্ট্রিট ও ১০১ এভিনিউয়ের বাসা থেকে নিজেই ৯১১ নম্বরে কল করেন উইন রোজারিও। ফোনে নিজে মানসিক ভারসাম্যহীন জানিয়ে মৃত্যুর মাধ্যমে এই অবস্থার সমাপ্তি টানতে চান বলে পুলিশকে জানান উইন। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের দাবী মানসিক ভারসাম্যহীন জেনেও পুলিশ গুলি চালায়।
উইনের মা সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলে পুলিশের দিকে তেড়ে যায়নি। আমাকে জড়িয়ে ধরে ও শুধু বলেছে ডোন্ট টাচ মি।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা এক ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে ফোনকলের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পরে গুলি চালানোর এই ঘটনা ঘটে। তিনি বলেছেন, সেখানে পরিস্থিতি ‘বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক ছিল। পুলিশ মনে করছে, নিহত রোজারিও নিজেই ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।
চিফ চেল বলেছেন, অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পর অফিসাররা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি একটি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে অফিসারদের দিকে ধেয়ে আসেন। পরে উভয় অফিসারই রোজারিওর ওপর টেজারের মাধ্যমে গুলি করেন এবং তাকে পরাস্ত করা হয়।
জন চেল আরও বলেন, ‘কিন্তু তার মা ছেলেকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। কিন্তু এটি করতে গিয়ে তিনি ঘটনাক্রমে রোজারিওর শরীর থেকে টেজার সরিয়ে দেন। আর সেই সময়ে রোজারিও কাঁচি তুলে আবার অফিসারদের দিকে তেড়ে আসেন।’
চেল বলেন, ‘এই পরিস্থিতেতে আত্মরক্ষা করার জন্য তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’
উশতো এবং উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেছেন, তাদের পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে অভিবাসী হয়েছিল এবং উইনের স্বপ্ন ছিল মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদান করা। তবে গ্রিন কার্ড পেতে বিলম্বের কারণে তার সেই পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়।
Recent Comments