বেশ ক’দিন ধরেই অসহ্য ঠান্ডা আর ব্যাপক তুষারপাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কের আশেপাশের স্টেট ও অন্যান্য স্টেটে গত কয়েক দিন তুষারঝড় চললেও গত ১৫ জানুয়ারি থেকে টানা ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে নিউইয়র্ক সিটিতে তুষারঝড়। সেই সাথে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস। টানা তুষারঝড়ে নিউইয়র্কবাসীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তুষারঝড়ের কারণে অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে নিউইয়র্কের নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়েছে। অনেক বাড়ির বেইসমেন্টে পানি ঢুকে পড়েছে। এর ফলে মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
অন্যদিকে গত ১৪ জানুয়ারি রোববার ‘আর্কটিক বিস্ফোরণ’ দেশটির বড় অংশকে ঢেকে ফেলে। এতে তীব্র বাতাসের সঙ্গে তুষারপাত চলতে থাকে। ফলে ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে বায়ু শীতল সতর্কতা বা পরামর্শের আওতায় আনা হয়েছে। কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়ার গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ মাইল।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস রোববার আর্কানসাসে মাইনাস ১৯ ডিগ্রি, ডালাসে মাইনাস ৯ ডিগ্রি এবং মন্টানায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রার কথা জানিয়েছে। র্যাপিড সিটি, এসডিতে মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশে তাপমাত্রা কম থাকতে পারে। বিশেষ করে নিউইয়র্কেও তাপমাত্রা মাইনাসে চলে যেতে পারে।
আবহাওয়া পরিষেবা বলেছে, এই শীতল বায়ু ও তুষারপাত উন্মুক্ত ত্বকে হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে। তাই ঘরের বাইরে যেতে হলে ঠান্ডা থেকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে পড়ে অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি শনিবার উত্তর-পশ্চিম লেকের একটি বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে একজন নিহত হয়। এক সপ্তাহে ১০০টিরও বেশি গাছ ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Recent Comments