বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে সমর্থন করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন প্রেস সেন্টারে আসন্ন জি-টুয়েন্টি এবং আসিয়ান সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)’র স্ট্র্যাটিজিক কমিউনিকেশন সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি।
গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্য এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিচারিক হয়রানির প্রসঙ্গে বিশেষ এই ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন ওঠে আসে।
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “গত মাসে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সভায় যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানবাধিকারের নাম ব্যবহার করে তারা ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে অন্য দেশে আক্রমণ করতে চায়।’ এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?” এবং অন্য প্রশ্ন ফলোআপ করে এই প্রতিবেদক জানতে চান-“নীরবে একটি গণতন্ত্রকে ধ্বংস: বিচারিক হয়রানির মুখোমুখি বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ”- শিরোনামে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিচারিক হয়রানির শিকার। আপনি জানেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৮৬ জন নেতা এবং ১০০ জনেরও বেশী নোবেলজয়ী ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে আহবান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?”
জবাবে জন কিরবি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খাকে আমরা সমর্থন করি। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদের সমর্থন রয়েছে। এ জায়গায় আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খার পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এটা দেখতে চায়।”
“বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খা যেনো বাস্তবায়ন হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র” বলে দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেন বাইডেন প্রশাসনের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
Recent Comments