রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকার মিরপুর রোডে ভবনে বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান, তুষার।
এদিকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আট জনকে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ রবিবার সকাল প্রায় ১০টার দিকে সায়েন্স ল্যাব এলাকার তিন তলার ওই ভবনটিতে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে তিন তলার দুই পাশের দেয়াল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে ঘটনাস্থলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।’
দুপুরের দিকে ভবনে উদ্ধার অভিযানে থাকা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। বিস্ফোরণে ভবনটির তিনতলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
তিন বলেন, ‘ভিতরে আমরা কোনো সিলিন্ডার দেখতে পাইনি। এছাড়া এসি বিস্ফোরণে এত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা না।’
হতাহতের ঘটনা ও চিকিৎসা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের সবশেষ পরিস্থিতি গণমাধ্যমে তুলে ধরে বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাত জন। তাদের মধ্যে নুরনবী নামের একজনের নিউরো চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ছয় জনের তিনজন শঙ্কামুক্ত নয়। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে আইসিওতে নেওয়া লাগতে পারে। এ ছাড়া অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বদ্ধ ঘরে কোনো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে আটকে পড়া ব্যক্তিদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ জন্যেও অনেকে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অসুস্থ হন। আহতদের জন্য সবধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।’
Recent Comments