May 22, 2024
Latest news

রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে তো খান নাই, গিলে ফেলেছেন: মির্জা ফখরুল

রিজার্ভের টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চিবিয়ে খান নাই, গিলে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পায়রা বন্দরে রিজার্ভের টাকা খরচ করা হয়েছে। রিজার্ভের টাকা পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য না, এটা আমদানির ডলার পরিশোধের জন্য। দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করার কথা। তিনি পায়রা বন্দর তৈরির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

সমাবেশে দুপুরের আগে থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন রংবেরঙের টি-শার্ট পরে, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে অংশ নেয়। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরেরপুল পর্যন্ত নেতাকর্মীতে ভরে যায়। এ সময়ে নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে মুখর করে তোলেন সমাবেশস্থল। সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি মহাসচিবের পাশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি রেখে দুই চেয়ার খালি রাখা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে সরকারের দুর্নীতি। প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন চুুরি করেছে যে এই ১৪ বছরে অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। পায়রা বন্দর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বন্দর কাজে লাগবে না। কারণ এখানে জাহাজ আসার জন্য যে পানির দরকার, সেই গভীরতা নাই। সরকার সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছে। এই সুপার ড্রেজারের জন্য আরও সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে চুরির ব্যবস্থা করেছেন।

সমাবেশে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনটা সমাবেশ করাতেই সরকারের কম্পন শুরু হয়েছে। এত কাঁপাকাঁপি শুরু হয়েছে যে সমাবেশ বন্ধ করার জন্য পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন। লজ্জা করে না আপনাদের! কী কাপুরুষ আপনারা? বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বন্ধ করার জন্য সব ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে দিতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে এখানে কোনো নির্বাচন হবে না।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Live Show

Youtube

বিভাগসমূহ

Recent Comments
Scroll to Top

Editor & Publisher : Dr. Kanak Sarwar

© Copyright 2019-2024 Rajnity. All Rights Reserved