করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে এ বছরের জানুয়ারি মাসের চেয়ে ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও মৃত্যু ছিল বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাসভিত্তিক হিসাব চার্টে দেখা যাচ্ছে, এ বছর জানুয়ারি মাসে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মাস জুড়ে যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তাতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারি মাসে গড় শনাক্তের হার অনেকটা কমে এসেছে। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে নয় লাখ ২২ হাজার ৬৫৭টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জনের। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৩২২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে ৬৪৩ জন হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৪.৫ শতাংশ কোভিড রোগী অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছিলেন। বাকি ৬৫.৫ শতাংশ টিকাই নেননি অথবা পাননি।
নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে ২৮শে জানুয়ারি শনাক্তের হার দাঁড়ায় রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশে। ২৫ জানুয়ারি একদিনে শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী, যা মহামারীকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে কমতে থাকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে নেমে আসে। গত তিনদিন ধরে তা হাজারের নিচেই আছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও নেমে এসেছে চার শতাংশের নিচে।
২৮শে ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭৬ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৫ জনের।
করেনাকালে মহামারীর পুরো সময়ে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গতবছর জুলাই মাসে, যখন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের দাপট চলছে। ওই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ৬১৮২ জনের, যা এক মাসের সর্বোচ্চ।
ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গেলো বছরের ২৮ শে জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। ওই ঢেউয়ের মধ্যে ৫ই অগাস্ট ও ১০ই অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
Recent Comments